হাকিমপুরে ইউ পি সদস্য আবুল কাশেমের খুঁটির জোর কোথায়। কেন তাহার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করা হচ্ছে না। জানতে চায় স্থানীয় সচেতন মোহল।
দৈনিক মায়ের আঁচল রিপোর্ট,মাহবুব হোসেন মেজর দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার ১ নং খট্রাা মাধবপাড়া ইউনিয়নের ইউ পি সদস্য আবুল কাশেমের খুঁটির জোর কোথায়। তাহার বিরুদ্ধে একাধীক বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়াই খবর প্রকাশ হওয়ার পরও কেন তাহার বিরুদ্ধে কেন আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করা হচ্ছে না। জানতে চান স্থানীয় সচেতন মহল।
সরকারের ভিজিডি (ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট) কর্মসূচির কার্ড করে দিতে ঘুষ হিসেবে টাকা ও বাড়ির রাজহাঁস নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ইউপি সদস্য আবুল কাসেম ভিজিডি কর্মসূচির কার্ড ছাড়াও মাতৃত্বকালীন, প্রতিবন্ধী, বয়স্ক, বিধবা ভাতার কার্ড এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের পল্লী কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির (আরআইআরএমপি) সদস্য করে দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে ওই ওয়ার্ডের ২০ থেকে ৩০ জন নারী-পুরুষের কাছ থেকে ২ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।
১৯নভেম্বর ওয়ার্ডের ১ নং খট্টা মাধবপাড়া ইউনিয়নের নওদাপাড়া বিলেরপাড় গ্রামের বাসিন্দা জাহিদ হাসান
ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, চার মাস আগে তাঁর মা ভিজিডি কর্মসূচির একটি কার্ড করার জন্য ইউপি সদস্য আবুল কাসেমের কাছে যান। এসময় ইউপি সদস্য তাঁর মায়ের নামে কার্ড করে দিতে চার হাজার টাকা চান। পরে তাঁর মা ইউপি সদস্যকে দুই হাজার টাকা দেন। বাকি দুই হাজার টাকা নিতে ইউপি সদস্যের স্ত্রী তাদের বাড়িতে যান এবং তাঁর মায়ের পালিত একটি বড় রাজহাঁস নিয়ে যান।
এর আগে ১০ নভেম্বর একই ওয়ার্ডের নওদাপাড়া গ্রামের মোছাঃ বুলি বিবি নামের এক নারীও ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে চেয়ারম্যানের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, চার মাস আগে তাঁর ছেলের স্ত্রীর মাতৃত্বকালীন ভাতা কার্ড করে দেওয়ার কথা বলে ইউপি সদস্য আবুল কাসেম দুই হাজার টাকা নিয়েছেন। কিন্তু চার মাস পার হলেও ইউপি সদস্য তাঁর ছেলের স্ত্রীর নামে কার্ড করে দেননি। এ জন্য ইউপি সদস্য বিভিন্ন অজুহাতে কালক্ষেপণ করেন।
স্বরেজমিনে ইউনিয়ন কার্যালয়ে গেলে ১ নং খট্টামাধবপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান কাওছার রহমান বলেন, আবুল কাসেম তাঁর ওয়ার্ডের বেশ কয়েকজন থেকে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা বলে টাকা নিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ৪টি লিখিত অভিযোগ এবং ২০ থেকে ৩০ জনের কাছ থেকে মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি।
চেয়ারম্যান মোঃ কাওছার রহমান আরও বলেন,অভিযুক্ত ইউ পি সদস্য অত্র ১নং খট্রা মাধবপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ আবুল কাশেম। প্রাপ্ত অভিযোগসমূহের ব্যক্তি ২০২২ সালে নয়ানগর গ্রামের মোছাঃ রেনু বেগম এর নিকট হইতে ১৯,০০০/- (উনিশ হাজার) টাকা আত্মসাৎ করেছিলো। উক্ত অভিযোগ ইউপি কার্যালয়ে নিষ্পত্তি হয় এবং সেখানে অভিযুক্ত ব্যক্তি ফেরত প্রদানসহ মুচলেকা প্রদান করেন।
এত ঘুষ দুর্নিতি ও অনিয়ম করার পরও কেন তাহার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করা হচ্ছে না। এসব বিষয়ে হাকিমপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আমিনুল ইসলামের প্রতি সু-দৃষ্টি কামনা করে দ্রত স্বরে জমিন তদন্ত পূর্বক যথাযত কঠোর ভাবে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক এমনটা দাবী স্হানীয় সচেতন মোহল ও ভুক্তভোগীগন।