সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা জুলাইয়ে শহীদদের খোঁজখবরে নারায়ণগঞ্জে।
দৈনিক মায়ের আঁচল রিপোর্ট নিজস্ব প্রতিনিধি-
সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ রোববার ছয় জুলাই সকাল সাড়ে দশটায় নারায়ণগঞ্জ নয়ামাটি এলাকার শহীদ রিয়াগোপ ও সিদ্ধিরগঞ্জে শহীদ সুমাইয়া আক্তার সিমু সহ নারায়ণগঞ্জের জুলাইয়ের শহীদের বাড়ির লোকজনদের খোঁজখবর নিতে আসেন।
এ সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা সহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক কবি নীরব রায়হান সহ আরো অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় শারমিন এস. মুরশিদ বলেছেন, “আমরা পুরো মাসটিকে ডেডিকেট করেছি এই জুলাই আন্দোলনের ওপর। যারা চলে গেছে, তাদের পরিবারের কাছে গিয়ে এটা বলতে চাই যে ‘আমরা তোমাদের ভুলিনি এবং ভুলব না’। তোমরা যে আত্মত্যাগ করে গেছ, তোমাদের যে ক্ষতি হয়েছে সেটার জন্য রাষ্ট্র সর্বোচ্চ টা করবে। এ দেশের মানুষও তাদের স্মরণ রাখবে।
তিনি আরও বলেন, “ছোট্ট রিয়ার নামে একটি স্টেডিয়াম হয়েছে। সেখানে যখন বাচ্চারা খেলতে যাবে, বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ রিয়ার নামটা থাকবে। তারা জিজ্ঞেস করবে—এই নাম কেন দেওয়া হলো? তখনই রিয়ার গল্পটা সবাই জানবে।”
উপদেষ্টা বলেন, “স্টেডিয়ামে সুন্দর একটা কর্নার থাকবে। সেখানে আমাদের রিয়া ও সিমু সহ যেসব বাচ্চারা হারিয়ে গেছে, তাদের নামসহ একটি কর্নার থাকবে। আজ রিয়ার মায়ের কাছে আসতে পেরেছি ভালো লাগছে সকলের বাড়িতে যেতে পারলে আরো বেশি ভালো লাগতো তবে সব শহীদের বাড়িতে যাওয়া কঠিন।
এই এগারোটি মেয়ে যারা শহীদ হয়েছে এই প্রথম এগারো জন মেয়ে এবং ১৩৫টি শিশু শহীদ হয়েছে, আমরা চাই তাদের পরিবারের চোখের জল মুছে দিতে।