
শঙ্কার মাঝে এবারও নারায়ণগঞ্জ লালন মেলা
শান্তিপূর্ণ সাধুসঙ্গ দাবি লালন ভক্তসহ সর্বমহলের
দৈনিক মায়ের আঁচল রিপোর্ট,নিজস্ব সংবাদদাতা :-
গত বছর নারায়ণগঞ্জে হেফাজতে ইসলামের আপত্তিতে বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো লালন ‘মহতী সাধুসঙ্গ ও লালন মেলা’ নামের একটি অনুষ্ঠান। এবারো শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন মেলার আয়োজক শাহজালাল এবং লালন ভক্তবৃন্দ। দীর্ঘদিন যাবৎ ধারাবাহিক ভাবে লালন মেলা হয়ে আসলেও গত ৫ আগষ্ট পট পরিবর্তনের পর বন্ধ হয়ে যায় আয়োজন। শিল্প, সংস্কৃতির আঘাত হিসেবে বিষয়টি দেখেছেন সমাজের সচেতন মহল।
গত বছর শেষ পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের অনুমতি না থাকায় এই মেলা বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিবছর কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে লালন ভক্তরা এই মেলায় অংশ নেয়। গত প্রায় দশ বছর ধরে নিয়মিত এই মেলা অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়ে আসছে বলে জানাযায়।
হেফাজতে ইসলামের বক্তব্য হচ্ছে, লালন মেলার নামে ‘অপসংস্কৃতির’ চর্চা হতো বলেই এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের অনুরোধে জেলা প্রশাসক অনুষ্ঠানটি বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছিলো।
এই আয়োজনটি বন্ধের পর নারায়ণগঞ্জের সাংস্কৃতিক কর্মীরাও এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তারা বিষয়টিকে জেলা প্রশাসনের ব্যর্থতা হিসেবে দেখছেন।
মি. শাহজালাল জানান মেলা শুধু বন্ধই না, এ নিয়ে ধারাবাহিক নানান হুমকির দিয়েছে বিভিন্ন মহল।
এই আয়োজনটি বন্ধের পর ততকালীন নারায়ণগঞ্জের সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন এবিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে।
এছাড়াও সারাদেশে এই মেলা বন্ধের প্রতিবাদে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে স্ট্যাটাস দেয় দেশের অন্যতম ব্যক্তিবর্গ। বর্তমান সারাদেশে ধারাবাহিক ভাবে মসজিদ, মন্দির, মাজারে হামলা, সাধুদের উপর নির্যাতন দেশকে করে তুলছে অস্থিতিশীল। সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা থেকে দেশ রক্ষায় কবজ হিসাবে লালন মেলা কাজ করবে বলে মনে করেন জেলার সচেতন মহল।
দেশের সম্প্রীতি রক্ষায় প্রসাশনের হস্তক্ষেপে এবারের লালান মেলার আয়োজন করা হোক শান্তিপূর্ণ এমনটাই দাবি সুশীল সমাজের।