১৬ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক নারায়ণগঞ্জ জেলা কার্যকরী কমিটির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত । মায়ের আঁচল রিপোর্ট দিনাজপুরের হাকিমপুর সাব্ রেজিস্টার অফিসের দাবিহীন ১ হাজার দলিল পুড়িয়ে ধ্বংস। মায়ের আঁচল রিপোর্ট সাংবাদিকে আহসান সাদিক শাওনের মায়ের মৃত্যুতে নারায়ণগঞ্জ জার্নালিস্ট ইউনিটির শোক। মায়ের আঁচল রিপোর্ট বাজার সিন্ডিকেট ভাঙ্গতে কাজ করছে প্রতিযোগিতা কমিশন — ড. মো. আখতারুজ্জামান তালুকদার। মায়ের আঁচল রিপোর্ট পিবিআইতে র‍্যাংক ব্যাজ পরিধান ও বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত। মায়ের আঁচল রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জের অপরাধীদের দৌরাত্ম কমাতে পুলিশ বক্স নির্মাণে স্থান পরিদর্শনে ডিসি,এসপি । মায়ের আঁচল রিপোর্ট মায়ের আঁচল সংগঠনের সাহিত্য আড্ডা ও আলোচনা সভা এবং মৃত্য ও জীবিত অসুস্থ কবি সাংবাদিকদের জন্য দোয়া মোনাজাতের মধ্য দিয়ে বিদ্যুৎ এর জন্মদিন পালন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। মায়ের আঁচল রিপোর্ট নারায়ণগঞ্জ জার্নালিস্ট ইউনিটি’র উদ্যোগে দোয়া ও জহিরুল ইসলাম বিদ্যুৎ এর জন্মোৎসব উদযাপন। মায়ের আঁচল রিপোর্ট সড়ক দুর্ঘটনা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান আছে -ডিসি জাহিদুল ইসলাম। মায়ের আঁচল রিপোর্ট হাকিমপুরে ৪৬০ জন কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সবজির বীজ ও সার বিতরণ। মায়ের আঁচল রিপোর্ট

শহীদ আবু সাঈদের দুই ভাইকে চাকরী দিল বাংলাদেশের স্বনামধন্য গ্রুপ।। মায়ের আঁচল রিপোর্ট

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, অক্টোবর ৯, ২০২৪,
  • 211 Time View

শহীদ আবু সাঈদের দুই ভাইকে চাকরি দিল বসুন্ধরা গ্রুপ

দৈনিক মায়ের আঁচল রিপোর্ট মনির হোসেন :- রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে পুলিশের গুলিতে শহীদ হওয়া বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের দুই ভাইকে চাকরি দিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ।

গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের পক্ষে ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মো. ইয়াসিন হোসেন পাভেল বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে রংপুরের পীরগঞ্জের বাবনপুরে শহীদ আবু সাঈদের গ্রামের বাড়িতে তার দুই ভাই আবু হোসেন ও রমজান আলীর নিয়োগপত্র নিয়ে যান। পরে শহীদ আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন এই নিয়োগপত্র গ্রহণ করেন।

বসুন্ধরা গ্রুপ শহীদ আবু সাঈদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোয় আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন বাবা মকবুল হোসেন। তিনি গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

মকবুল হোসেন বলেন, ‘আমি আজ অনেক খুশি। আমার দুই ছেলেকে ওরা (বসুন্ধরা গ্রুপ) চাকরি দিছে। আল্লাহ ওমাক (ওনার) ভালো করুক, ওমার প্রতি রহম করুক। ওরা খুব ভালো মানুষ। আমার ছেলেক হারাইছি অনেক কষ্ট। কিন্তু ওরা দুই ছেলেকে বড় (ভালো) চাকরি দিছে, ওর মা (শহীদ আবু সাঈদের মা) খুব খুশি হইসে। আমরা ভালো থাকমো’।

এ সময় আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক মো. ইয়াসিন হোসেন পাভেলকে জড়িয়ে কান্না করে বলেন, ‘বাবা, তোমরা আমার গ্রামটার জন্য কিছু করেন। এই গ্রামে অনেক গরিব মানুষ। শীতে তাদের কিছু কম্বল দিবেন। ’

এ সময় নির্বাহী পরিচালক পাভেল আসন্ন শীতে যত প্রয়োজন, তত কম্বল দেওয়ার ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, ‘আন্দোলনের শুরু থেকেই বসুন্ধরা গ্রুপ ছাত্রদের সহযোগিতা করে আসছে। আমরা সর্বপ্রথম অসুস্থদের সহযোগিতা, হাসপাতালে হাসপাতালে গিয়ে তাদের চিকিৎসার খোঁজখবর নেওয়া এবং সহযোগিতা করে আসছি। ’

ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের এই নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ‘আমাদের চেয়ারম্যান স্যারের আকাঙ্ক্ষা ছিল যে শহীদ আবু সাঈদের পরিবারকে সহযোগিতা করব। আমরা আজ তার দুই ভাইকে নিয়োগপত্র দিয়েছি। আমরা তাদের সঙ্গে নিয়ে রংপুর এলাকার মানুষের জন্য কাজ করব। ’

পরে তিনি পরিবারে অন্য সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন, তাদের খোঁজখবর নেন। যেকোনো সমস্যায় শহীদ আবু সাঈদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি।

শহীদ আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী বলেন, ‘অনেকে আশ্বাস দিয়েছেন কিন্তু কেউ চাকরি দেননি। কিন্তু বসুন্ধরা গ্রুপ আমাদের চাকরি দিতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, আজ তারা আমাদের দুই ভাইকে চাকরি দিয়েছে। আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। এজন্য চেয়ারম্যান স্যারকে ধন্যবাদ জানাই। আজ থেকে আমরা বসুন্ধরা গ্রুপের সদস্য হয়ে গেলাম। আমরাও এখন বসুন্ধরার। ’

ছোট ভাই আবু হোসেন বলেন, ‘আমাদের চাকরি দিতে তারা আমাদের বাড়িতে এসেছেন, আমাদের খোঁজ নিয়েছেন এবং আমাদের বাবার হাতে আমাদের কর্মসংস্থানের কাগজ তুলে দিয়েছেন, আমরা খুশি। এ জন্য আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই। ’

তিনি বলেন, ‘আমাদের গ্রামটা কৃষিনির্ভর, আমি স্যারকে অনুরোধ করব যাতে চেয়ারম্যান স্যার আমাদের গ্রামের মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য ভালো কিছু করেন। ’

এ সময় শহীদ আবু সাঈদের মা মনোয়ারা বেগম, বোন সুমি বেগমসহ প্রতিবেশী ও অন্য স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন।

শহীদ আবু সাঈদের স্বজন মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রথম বুকে পেতে দিয়ে শহীদ হয়েছেন আবু সাঈদ। তার এই আত্মদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে। কিন্তু তার পরিবারটি অসচ্ছল-অভাবী। তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ। আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমরা মনে করি, বসুন্ধরা অনেক ভালো একটি কাজ করেছে। এমন অসহায় পরিবারের প্রতি সহযোগিতা ও সহমর্মিতার হাত বাড়ানোয় আমরাও তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। ’

শহীদ আবু সাঈদের গ্রামে গিয়ে জানা যায়, বসুন্ধরা গ্রুপ শহীদ আবু সাঈদের পরিবারের সংকটের সময় পাশে দাঁড়ানোয় তারা অনেক খুশি। শহীদ আবু সাঈদ সংঘের সদস্য হাসান বলেন, ‘আমরা খুশি হয়েছি যে শহীদ আবু সাঈদের পরিবারকে তারা এত ভালো চাকরি দিয়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category