ফতুল্লায় পলাতক জাহিদ হাসানকে গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা চায় বাদী জুয়েল
দৈনিক মায়ের আঁচল রিপোর্ট বিশেষ প্রতিনিধি-
নাঃগঞ্জের ফতুল্লা থানাধীন কুতুবপুর নন্দলালপুর এলাকার মোঃ আলী আরশাদ সরকার এর পুত্র জাহিদ হাসান সরকার (৩৪) কে গ্রেফতারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতার দাবি জানান পূর্ব দেলপড়া এলাকার মোঃ বাবুল মিযার পুত্র ব্যবসায়ী জুয়েল (৩৫)। জুয়েল বাদী হয়ে মোকাম: নারায়ণগঞ্জ বিজ্ঞ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী ০২ নং আদালতে জাহিদ হাসান সরকার ও তার বোন নূরুন্নাহার(৩৬) এর বিরুদ্ধে একটি পিটিশন মামলা করেন। যাহার মামলা নং- ৪২৭/২০২৪। এ মামলার জাহিদ হাসান একজন ওয়ারেন্ট ভূক্ত পলাতক আসামী। সে জুয়েলের নিকট জমি বিক্রি বাবাদ ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা নিয়ে জমি রেজিষ্ট্রেশন না করে জুয়েল এর সাথে প্রতারনা করে বলে জানা যায়। ওয়ারেন্ট জারি হওয়ার পর থেকে জাহিদ আত্নগোপনে তাই ভুক্তভোগী জুয়েল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেন দ্রুত জাহিদকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করার।
ঘটনার বিষয়ে ভুক্তভোগী বলেন, , আমি বিগত ২২-৮-২০২৪ ইং তারিখে ফতুল্লা সাব রেজিষ্ট্রী অফিসে জাহিদ হাসান সরকার ও তার বোন নুরুন্নাহার এর নিকট থেকে তাদের মালিকানাধীন ৬ শতাংশ জমিতে ২য় তলা ভবনের বাড়িটি ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা মূল্য ধার্য করে ১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা পরিশোধ করে বাকি ২০ লক্ষ টাকা বাকি রেখে ৭৪৩৩ নং দলিল মূলে জমিসহ রেজেষ্ট্রি বায়না করি।
বায়নার পর বাড়িতে সাইনবোর্ড লাগাতে গেলেই জাহিদ হাসান সরকার এর প্রতারনার তথ্য বের হয়ে আসে।সেই সাথে তার ভণ্ডামি। আমার সাথে বায়না করার পূর্বেই জাহিদ হাসান এই জমি বন্ধকি রেখে ফতুল্লা পঞ্চবটী শাখার আই এফ আই সি ব্যাংক লিমিটেড হতে ৬৬ লক্ষ টাকা লোন তুলে।
আমি বিষয়টি জানতে পেরে ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করে বিস্তারিত সব কিছু জেনে জাহিদ হাসান কে প্রশ্ন করি আমার সাথে এমন প্রতারনা করার কারন কি? এবং বলে থাকি এ সব ঝামেলা সমাধান করে আমাকে মুক্তি দেন। কিন্তু চতুর ও ঠকবাজ প্রতারক জাহিদ হাসান সরকার কোন সমাধান না করে তালবাহানা শুরু করে এবং আমাকে হুমকি ধামকি দিয়া থাকে। এক পর্যায়ে সে টাকা নেয়া ও জমি বিক্রির কথা অস্বিকার করে আমাকে প্রাণনাসের হুমকি দেয়।
আমি এমন প্রতারিত হয়ে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়ি এবং হতাশায় ডুবতে থাকি । তাই ন্যায় বিচারের আশায় তাদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দেই। আদালত জাহিদ হাসান সরকার এর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি করেন। কিন্তু জাহিদ আদালতে উপস্থিত না হয়ে আত্নগোপন করেন। ফতুল্লা পুলিশ তাকে গ্রফতারে পদক্ষেপ নিলেও সে বাড়িতে না থাকায় গ্রেফতার করতে পারছে না। তাই আমি গোয়েন্দা সংস্থা ও অন্যান আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট সহযোগিতা কামনা করছি।
এলাকাবাসীর কাজ থেকে তথ্য দিয়ে জানা যায় যে, জাহিদ হাসান নিজেকে সমাজের সকলের সামনে ব্যবসায়ী হিসেবে ভালো মানুষ হিসেবে তুলে ধরলেও সে আসলে ভালো লোক নয়। সে ব্যবসায়ী সেজে অনেকের টাকা পায়সা নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। তাদের মতোই জুয়েল এর সাথে প্রতারনা করে। সে একজন এলাকাবাসীর কাছে চিহ্নিত প্রতারক ও পল্টি বাজ।