থানা থেকে পুলিশের সহ নিজ বাড়ি থেকে সেনা কর্মকর্তার মোটরসাইকেল চুরি ।
দৈনিক মায়ের আঁচল .কম রিপোর্ট হারুন অর রশিদ সাগর, বিশেষ নিউজ :-কুষ্টিয়া জেলা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বেশ কিছুদিন ধরে চুরির প্রকোপ বেড়েছে। এসব জেলার কোথাও না কোথাও চুরি অথবা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে।
এবার খোদ কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানার গ্যারেজ থেকে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাত ২টা ৪০ মিনিটের দিকে পুলিশের তিনটি মোটরসাইকেল নিয়ে গেছে চোরের দল।
শনিবার (২ নভেম্বর) ভেড়ামারা থানার ওসি শেখ শহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাত ২টা ৪০ মিনিটের দিকে ভেড়ামারা থানার ভেতরের গ্যারেজ থেকে তিনটি মোটরসাইকেল চুরি করে চোর চক্র। ভেড়ামারা থানা পুলিশের এসআই আলামিন, কনস্টেবল সোহেল ও মাসুদ থানার গ্যারেজে মোটরসাইকেল রেখে কাজ করছিলেন। পরে গ্যারেজে ফিরে দেখতে পান তাদের ১৫০ সিসির বাজাজ পালসার ব্র্যান্ডের তিনটি মোটরসাইকেল নেই।
ভেড়ামারা থানার ওসি শেখ শহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি চুরির মামলা হয়েছে। মোটরসাইকেল উদ্ধার ও চোর চক্রের সদস্যদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছে পুলিশ। অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ ভুইঘরের আর্মি কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামের ফেজার মোটরসাইকেল চুরি হয়েছে এ ব্যাপারে জাহিদুল ইসলাম ফতুল্লা থানায় একটি চুরি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলা ফতুল্লা থানা উত্তর ভুইঘর এলাকার নূর হোসেনের পুত্র আর্মি কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম (২৭)০২/০৯/২০২৪ ইং বিকেলে সশরীরে উপস্থিত হয়ে ফতুলা থানায় একটি চুরির অভিযোগ দায়ের করেছেন।অভিযোগে তিনি লিখেছেন গত ০২/০৯/২০২৪ ইং মধ্যরাত আনুমানিক ০১ টার সময় তার একটি ফেজার ভার্সন-২ নীল+ কালো রঙের মোটরবাইক যার রেজিস্ট্রেশন নাম্বার মেট্রো ল ১৪-৭৮৭১ যার ইঞ্জিন নাম্বার G3J3E0262067,চেসিস নাম্বার-MEIRG4444J0022625 যার মূল্য ১ লক্ষ ৬২ হাজার টাকা প্রতিদিনের ন্যায় তার উক্ত ঠিকানায় ১০ম তলার বাড়ির নিচতলায় গাড়িটি গ্যারেজ করে রাখিয়া বাসায় ফিরে যায় অতঃপর অদ্য ০২/০৯/ ২০২৪ তারিখ দুপুর আনুমানিক ২ ঘটিকার সময় তিনি বাড়ির নিচে নামিয়া দেখতে পান যে উক্ত মোটরবাইক টি যথাস্থানে নাই এমতাবস্থায় তিনি তার উক্ত ভাড়াটিয়া বাড়ির সিসি ক্যামেরায় ভিডিও ফুটেজ দেখে যে অদ্য ০২/০৯/২৪ তারিখ সকাল অনুমান ৫৮ মিনিট কালো রঙের মার্কস পরা একজন ও একজন মাথায় ক্যাপ পরিহিত অজ্ঞাতনামা ০২ জন চুর উক্ত দশম তলা বিল্ডিং এর বাড়ির নিচ তলায় গ্যারেজ হইতে তার উপরোক্ত মোটরবাইকটি সুকৌশলে মোটর বাইকটির লক খুলিয়া চুরি করে নিয়ে গেছে। অজ্ঞাত নামা চুরদয় এইরুপ কার্যকলাপ করিয়া তাকে আর্থিকভাবে ক্ষতি সাধিত করিয়াছে এবং হয়রানি করিতেছে। বিষয়টি আত্মীয়স্বজনের সাথে আলাপ-আলোচনা করি সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়া অজ্ঞাতনামা চোরদের পরিচয় জানার চেষ্টা করিয়া ব্যর্থ হইয়া গাড়িটি উদ্ধারের জন্য থানায় অভিযোগ করেছেন।
এ ব্যাপারে গতকাল ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ নারায়ণগঞ্জ ফতুলা থানার মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা এসআই আব্দুর রহিম এর কাছে মোটরসাইকেলটির উদ্ধারের বিষয় জানতে চাইলে তিনি জানান তাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে চোরদের সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে পরবর্তীতে তার সাথে আবার যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান তিনি ফতুল্লা থানায় আর নেই অন্যত্বে বদলি হয়ে গেছেন তার অবর্তমানে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এসআই বাসার সাহেবকে এ ব্যাপারে তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান বিষয়টা আমি দেখছি অবশ্যই প্রশাসনের পক্ষ থেকে চেষ্টা অব্যাহত আছে দেখা যাক বাকিটা অপেক্ষা করুন।
ভুক্তভোগীরা বলেন বর্তমানে বিষয়টি দেখা যাচ্ছে প্রশাসনের থেকে চোরেরাই বেশি শক্তিশালী কারণ থানা থেকে তিনটি গাড়ি চুরি করে নিয়ে যাওয়া তাহলে তো সাধারণ মানুষের জান মালের নিরাপত্তা অনেক চিন্তার ব্যাপার যেখানে সেনা কর্মকর্তার গাড়িই এখন পর্যন্ত উদ্ধার হয়নি এতেই প্রমাণিত হয় প্রশাসনের থেকে চোরেরাই শক্তিশালী।