বাংলাদেশ ইসলামী সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে শোহাদায়ে কারবালা ও সাংগঠনিক কার্যক্রম শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত।
হারুন অর রশিদ সাগর, নারায়ণগঞ্জ
২৫ জুলাই শুক্রবার বিকাল সাড়ে চারটায় ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাব আবদুস সালাম মিলনায়তনের (তিন তলায়) বাংলাদেশ ইসলামী সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে শোহাদায়ে কারবালা ও সাংগঠনিক কার্যক্রম শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে উক্ত সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি, এবং মায়ের আঁচল সাহিত্য সামাজিক মৈত্রী পরিষদ এর উপদেষ্টা ক্যান্সার গবেষক অধ্যক্ষ ডাক্তার এস এম সরওয়ার এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় ধর্ম উপদেষ্টা ডঃ আ খ ম খালিদ হোসেন ।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক ডেসটিনির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, দৈনিক দেশ জগতের সম্পাদক প্রকাশক ও মাআসাপ বাংলাদেশ এর উপদেষ্টা কবি ও গবেষক মাহমুদুল হাসান নিজামী।
অনুষ্ঠানে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কথাসাহিতিক ইঞ্জিনিয়ার বি এম এরশাদের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন মাওলানা এ কে এম আশরাফুল হক নির্বাহী সভাপতি বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, মাওলানা আজহারুল ইসলাম চেয়ারম্যান বাংলাদেশ ইসলামী জনতা পার্টি, আকবর হোসেন ফাইটন চেয়ারম্যান, আলহাজ্ব মাওলানা আলতাফ হোসেন মোল্লা চেয়ারম্যান জাতীয় ঐক্যজোট নতুন বাংলা , মায়ের আঁচল সাহিত্য সামাজিক মৈত্রী পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ও দৈনিক ডেসটিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি লেখক সাংবাদিক হারুন অর রশিদ সাগর ,
সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কবি ইসমাইল হোসেন জনি সহ-সভাপতি বাংলাদেশ ইসলামী সমন্বয় পরিষদ, এস এম আবু তাহের সিনিয়র সহ সভাপতি বাংলাদেশ ইসলামী সমন্বয় পরিষদ,, অ্যাডভোকেট মনজুল ইসলাম মঞ্জুর সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলাদেশ ইসলামী পরিষদ, মোহাম্মদ তানভীর হাসান সভাপতি বাংলাদেশ ইসলামী যুব সমন্বয় পরিষদ, ডাক্তার ফুয়াদ হাসান সভাপতি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র সমন্বয় পরিষদ, জসিম উদ্দিন খান সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র সমন্বয় পরিষদ, ডাক্তার শামীমা সুলতানা , ডেসটিনি মাল্টিমিডিয়ার ইনচার্জ মোঃ লিটন ও এম এইচ প্রিন্স প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা খালিদ হোসেন বলেন কারবালার মাধ্যমেই ইসলাম পূর্ণ জীবন লাভ করেছে। সেই দিন ইমাম হোসাইন এবং তার সঙ্গীরা যদি জীবন উৎসর্গ না করতেন তাহলে ইসলামের পতাকা চিরদিনের জন্য অতল গহবরে নিমজ্জিত হয়ে যেত ।৬১ হিজরী ছিল মুসলমানদের জন্য হক বাতিলের টার্নিং পয়েন্ট। ইমাম হুসাইনের ত্যাগ যদি আমরা অনুসরণ করতাম তাহলে পৃথিবীতে অন্যায় অত্যাচার বলে কিছু থাকত না।
প্রধান আলোচক তার বক্তব্যে বলেন ৬১ হিজরী শুধু ইতিহাস না বরং এটা মুসলমানদের জন্য বন্ধু দুশমন চেনার অন্যতম পথ আওলাদে রাসুল ইমাম হোসাইন যে ত্যাগ স্বীকার করেছে তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল ঘটনা তার সেই ত্যাগের মাধ্যমে ইসলাম আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে তিনি সকল মুসলমানকে তার ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন মুসলমান এক না হলে বিজাতিরা প্রতিনিয়ত এই মুসলমানদের উপর অত্যাচার নির্যাতন চালাবে এবং মুসলমানদের ঈমান ধ্বংস হবে।