এর আগে দুপুরে তিনি পুলিশ সুপারের অফিসে আসলে জেলা পুলিশের শীর্ষকর্তারা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন। পরে বিকাল ৩টায় তিনি নারায়ণগঞ্জের গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন।
মতবিনিময় কালে তিনি নিজেকে সন্ত্রাস ও মাদক ব্যাবসায়ীদের সাথে অাপসহীন অাতংক বলে দাবী করেন।যত দিন থাকবেন ততদিন মাদক ব্যাবসায়ীদের ছাড় দেবে না বলে ঘোষনা দেন।
তিনি বলেন অামরা নির্বাচন কমিশনের অধীনে তাই চেষ্টা করবো সুষ্ঠু ও শান্তিপুর্ন নির্বাচন যাতে হয় সে লক্ষে অাগামী ২৪ দিন রাত দিন কাজ করে যাবো।অাপনারা সাংবাদিক জাতীর বিবেক তাই অাপনাদের সকলের সহযোগিতা অামি অাশা করছি।
পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডিএমপি) থাকাকালীন বিএনপির চিফ হুইপ জয়নুল আবেদীন ফারুককে মারধর করে আলোচিত হয়ে উঠেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
নারায়ণগঞ্জে যোগদানের আগে তিনি গাজীপুরে দুই দফায় ৪ বছর কর্মরত ছিলেন। গত ২ ডিসেম্বর তাকে নারায়ণগঞ্জে বদলীর আদেশ হয়।
এর আগে ২৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) আনিসুর রহমানকে প্রত্যাহার করে ইসি। তার বিরুদ্ধে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট আপত্তি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেছিল।
এসপি হারুন অর রশীদ ২০১৪ সালের ২৪ আগস্ট পুলিশ সুপার হিসেবে গাজীপুরে যোগদান করেছিলেন। ২০১৬ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ওই বছরের ২১ এপ্রিল তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার আবারও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে ওই বছর ৩ মে গাজীপুরের পুলিশ সুপার পদে হিসেবে পুনর্বহাল করেন।এ সময় উপস্তিত ছিলেন নারায়নগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( প্রশাসন) মনিরুল ইসলাম,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) অাব্দুল্লাহ অাল মামুন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিবি) নুরে অালম,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ফারুখ হোসেন,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক অঞ্চল) মেহেদী ইমরান সিদ্দিকী প্রমুখ।