“”বার কাউন্সিল সম্পর্কে কিছু কথা “”
এস এ বিপ্লব ( নারায়ণগঞ্জ)
ফোন — ০১৯৫৭২৩৭০১২
দৈনিক মায়ের আঁচল রিপোর্ট নিজস্ব প্রতিবেদক হারুন অর রশিদ সাগর :- এডভোকেট বা উকিল সম্পর্কে সবারই কম বেশী ধারনা আছে।তবুও যদি প্রশ্ন করি কে একজন এডভোকেট?উত্তরে আসবে যিনি The Bangladesh legal practitioner and Bar council order and rules 2(a)1972 অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইনজীবী হিসেবে তালিকা ভুক্ত হয়েছে।অর্থাৎ ১৯৭২ সালের প্রেসিডেন্ট অর্ডার নং ৪৬ অনুযায়ী বাংলাদেশ বার কাউন্সিল গঠিত হয়।সেখান থেকে প্রতি বছর সনদ নিয়ে আইনজীবী পেশায় নিয়োজিত হয়ে কাজ করে থাকেন তিনিই এডভোকেট। এই সনদ ছাড়া আইন পেশায় কাজ করা যায় না বা অনুমোদিত নয়।এখান থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ তিনটি ধাপে পরীক্ষা দিয়ে পাস করলে সনদ দিয়ে থাকে।যদিও পূর্বে শুধু একটি এক্সাম ছিল।পরীক্ষা তিনটি হলো, এম সি কিউ, লিখিত আর ভাইবা।ভাইবা এক্সাম টা পূর্বে শুধু ছিল।এম সি কিউ বা লিখিত ছিল না।এমন কি বিশ্বের কোন দেশে এমসিকিউ, লিখিত আছে কি না সন্দেহ।থাকলেও হাতে গোনা দু- একটি দেশে।তার মধ্যে আমাদের বাংলাদেশ একটি।শুধু বাংলাদেশেই নতুন নতুন নিয়ম চালু করছে।কে বা কারা করেছে, কেন করেছে তা আদৌ বোধগম্য নয় আমাদের।ফান করে করছে না মান করছে সেটা ও কেউ আমরা জানি না। তবে মনে হয় ব্যবসা বা ইনকামের একটা পথ খুজে বের করছে।এমসিকিউ ১০০ মার্কে নিয়ে থাকে ৫০ পেলে পাশ। লিখিতও ১০০ মার্কে নিয়ে থাকে ৫০ পেলে পাস।মজার বিষয় হলো বার কাউন্সিল যখন যা বলেছে, করেছেও তাই, আর নিরুপায় হযে মেনে নিয়েছে অসহায় শিক্ষার্থীরা।অথচ তারা নিজেরাই নিজেদের আইন ভঙ্গ করেছে।তাদের কথা আর কাজের সাথে কোন মিল নেই।তারা বলছে ৫০ পেলে পাস অথচ ৫০ এ পাস দিচ্ছে না।যদি ৫০ এ পাস দিত তবে ৪০ হাজার এক্সাম দিয়ে ৬ হাজার পাস করে না। কারন এখানে যারা এক্সাম দেয় তাদের সবাই বুঝের। শিশু না, আর পড়ে না, বা বলে, বকে পড়াতে হয় এমন টা নয়। আমি দেখেছি এই বয়সে কেউ ফেল করতে চায় না।তাই সবাই জান -প্রান দিয়ে পড়ে থাকে।এমন কি এ বছরই সবচেয়ে কম সংখ্যক পাস করে থাকে ২০২৩ সালের এম সিকিউ এক্সামে।প্রতি বছর পরীক্ষা নিবে,ফরম ফিলাপের দাম সেটাও বাড়িয়ে দিয়েছে।এখনো ঝুলে আছে ৪০-৫০ হাজার শিক্ষার্থী।দু বছরের বেশী সময় হবে পরীক্ষা নিচ্ছে না।ফরম ফিলাাপের জন্য জনপ্রতি টাকা নিচ্ছেন ৫ হাজার করে।যা পূর্বে ছিল তার অর্ধেক।অথচ পরীক্ষার কোন খবর নেই।মানুষ ভুলে যায় নি ২০১৮,২০১৯ সালের বার কাউন্সিল আন্দোলন ।এতো কিছুর পরও শিক্ষার্থীরা মেনে নিয়েছে, কোন প্রতিবাদ করেনি।যতটুকু করেছে বাধ্য হয়ে করেছে। তবে যখন থেকে এমসিকিউ চালু করেছে তখন থেকেই আন্দোলন করা উচিত ছিল।কেননা দু- একটি দেশ ছাড়া আর কোন দেশে এম সি কিই নামক এক্সাম নেই।আবার ভারতে আছে কিন্তু তাদের নিয়মে তো এক্সাম নিচ্ছে না আমাদের দেশে।তাদের সময় দেওয়া তিন ঘন্টা,তাদের পাস দেওয়া হয় ৪০ এ।তাদের কোন মাইনাস বা ভুল মার্ক কাটে না।অথচ আমাদের দেশে এর একটিও নেই।ভারত এতো বড় দেশ, আবার জনসংখ্যাও অনেক বেশী তারপরও তারা চায় উকিল হোক তাই তারা যতটা পারে সহজ করে থাকে।আর আমাদের এই ছোট্র দেশে, তাদের তুলনায় জনসংখ্যাও কম এরপরও এদের চোখে নাকি উকিল বেশী হয়ে গেছে।তাই তারা দিন দিন এটাকে যতটা পারছে কঠিন করছে।যেহেতু বেশির ভাগ দেশে নেই, তাই আমাদের দেশে কেন থাকবে।প্রশ্ন হলো বার কাউন্সিল কেন এমন করছে? তারা কি চায়,? এভাবে কারো জীবন নষ্ট করার অধিকার তো কারো নেই।এতো গুলো মানুষের সময়, অর্থ,কিংবা জীবন থেকে যে বছর গুলো পার হয়ে যাচ্ছে তার জন্য দায়ী কে? কেউ আছে কি শিকার্থীদের চলে যাওয়া একটা বছর ফিরিয়ে দিবে।অথচ শিক্ষকরাই বলে থাকেন যে,জীবন থেকে একটি বছর হারিয়ে যাওয়া মানে অনেক কিছু হারিয়ে যাওয়া। সেই সব কথার দাম এখন আর তাদের কাছে নেই।তারা তাদের মনগড়া মত কাজ করে থাকে।মন চাইলে পরীক্ষা নিবে না চাইলে নাই।তারা পাস করার জন্যও টার্গেট নিয়ে রাখে, যে এবছর তিন বা চার হাজার এমন পাস করাবে।তা না হলে ৪০ হাজার এক্সাম দিয়ে ছয় হাজার পাস করে এমন ইতিহাস খুব কম দেখেছি।কাউকে বললেও তো বিশ্বাস করবে না।এতেই বোঝা যায় যে, তারা ৫০ এ পাস দেয় না।যদি দিয়ে থাকে তবে আমি চ্যালেন্জ করে বলব ৪০ হাজার এক্সাম দিয়ে এবং যদি ৫০ এ পাস দিয়ে থাকে তাহলে পাস করবে কম করে হলেও ১৫-২০ হাজার।তাহলে কি বলব পাস করা ৬ হাজারই ছাত্র বাকি সব কি পাত্র। আসলে তাদের ধারনা এদেশে নাকি উকিল বেরে যাচ্ছে। অথচ জরিপ করে দেখা হয়েছে যে, এদেশে উকিলের সংখ্যা এখনো এক লাখে পৌছেনি।প্রায় ৭০ হাজার।তার মানে প্রতি একজন উকিল একশ জন সাধারন মানুষের জন্য।কিন্তু কথা হলো উকিল বাড়লে তাদের কি? তারা তো বেতন, পেনশন কোন কিছুই দেয় না।তাছাড়া উকিল, ডাক্তার বাড়লে কি উপকার ছাড়া , ক্ষতি তো হবে না।উকিল, ডাক্তার বাড়লে তো দেশের ই গর্ব।অথচ কোর্টে লাল টাই পরে গিয়েছে কিনা, কালো কোর্ট কেন পরবে,এসব বিষয় নিয়ে আবার কিছু কিছু কোর্টের সভাপতি সহ কমিটিরা ধরে থাকে। মাঝে মাঝে মনে হয় ল পড়ে শিক্ষার্থীরা বড় ভুল করেছে। আর না হয় কোন পাপের শাস্তি।যিনি বা যারা এমসিকিউ চালু করেছে। তাদের কাছে প্রশ্ন বলেন তো এ বয়সে এসে কি আমি – আপনি বাচ্চাদের মত বই নিয়ে বসে থাকব? না কি ঘর সংসার চালাব। আসলে যারা এসব করছে তার কিন্তু এমসিকিউ দেয়নি, এমন কি তাদের ছেলে – মেয়েদের কিন্তু এদেশে পড়ায়ও না,এম সি কিউ এস্কামও দিতে দেয় না। আমার মনে হয়, আপনারা মনে হয় এমসিকিউ পরীক্ষা দিলেও পাস করবেন না।তাই হিংসায় এসব করছেন। অথচ একটু ভেবে দেখেছেন কি, একজন শিক্ষার্থীর জীবন কিভাবে চলে।তাদের কিন্তু কোন ভাতা বা বেতন কোন কিছু দেওয়া হয না।তাহলে তাদের উপর কেন এতো অত্যাচার? শুনেছি ব্যারিষ্টার সুমন সাব এতোগুলো ছাত্রদের জন্য হাইকোর্টে রিট করেছে।এজন্য তাকে ধন্যবাদ। রিট করবে না কেন একটা সময় ছিল আন্দোলন করে পরীক্ষার তারিখ নিতে হতো।জীবন কে উপলব্ধি তে নিতে শিখুন দেখবেন জীবন বাস্তবতা কতটা কঠিন, যদিও তারা এসব বুঝবে না কারন তাদের তো আছে।তাছাড়া যে ব্যবসা শুরু করেছে তাতে ভালো ইনকাম হয়ে থাকে। প্রতি বছর কম করে হলেও ৩০– ৪০ হাজার পরীক্ষা দিচ্ছে। এভারেজে জন প্রতি ৪ হাজার টাকা করে দিলে ও কত কোটি টাকা উঠে থাকে।তাহলে কি আর কিছু লাগে। এর চেয়ে ভালো ব্যবসা আর কি হতে পারে বলুন। আর সেই ব্যবসাই করছে বার কাউন্সিল। এই টাকা থেকে তারা চাইলে পারত শিক্ষা নবিশ দের মাসে কিছু দিয়ে চালিয়ে নিতে।বাবা মা ফেল করলে সন্তান দের উপর দোষ দিয়ে থাকে। কিংবা অনেকে বলে ভালো করে পড়তে। তো ভালো করে পড়তে হলে, যা যা করতে হবে সেটা তো করা সম্ভব না। কজনের আর দালান কোঠা আছে।হয় কোর্ট ছেড়ে দিতে হবে, না হয় বউ,সন্তানাদি, সংসার ছেড়ে দিতে হবে।যারা শিক্ষা নবীশ তাদের কোর্ট ছাড়লে জীবন চলে না, আর জীবন ছাড়লে মরন ছাড়া পথ থাকে না।এখন কথা হলো আপনারাই বলে দিন শিক্ষানবীশরা কি করবে? পড়বে না মরবে।সভ্য,শিক্ষিত মানুষ হয়েও অসভ্য আচরন গুলিই এদের মাঝে দেখা যায়।কেন দেখা যায় বললাম,কারন কোর্টে কাজ করে ও শান্তি নেই অনেক বারে দেখেছি যারা বারের সভাপতি বা কমিটির দায়িত্বে আছে তারা শিক্ষানবীস দের সাথে খুব খারাপ ব্যবহার করে থাকে। বিশেষ করে আমি দেখেছি নারায়ণগঞ্জ জজ কোর্টে।শুধু কি খারাপ ব্যবহার গায়ে হাত তুলতেও দ্বিধা করে না।বিশেষ করে(আওয়ামী লীগএর) সাবেক সভাপতি ও সেক্রেটারী এই দুজন। হয়তো বলতে পারে কেন গায়ে হাত তোলে বা তুলবে।কারন তারাই জম্ম দিয়েছে তারা দোষ খুঁজে বের করে থাকে।বারকাউন্সিল বিধি তে বলা আছে শিক্ষা নবিশ দের টাই পড়তে হবে। হে ভালো কথা টাই একটা মানুষ বিএ পাস করলেই যোগ্যতা অর্জন করে থাকে। আর কোর্টে যারা কাজ করে তারা তো ল পাস।কিন্তু নারায়ণগঞ্জ বারেই একমাত্র এ সমস্যা দেখা যায়। দেখা যাওয়ার কারন হলো তারা যে টাই দিয়েছে তা একে বারেই নিম্নমানের লাল টাই আবার সেই টাইয়ের ঠিক মাঝ খানে বড় করে লিখে দিয়েছে শিক্ষা নবিশ। তাদের রুচি একজন আইনজীবীর রুচি যে এতো ছোট হতে পারে তা এই টাই দেখলে যে কেউ বলবে।অথচ পাশেই কিন্তু ঢাকা বার রয়েছে, সেখানেও উকিল, সভাপতি সব আছে। তারাও তাদের শিক্ষা নবিশ দের টাই দিয়েছে। সেই টাই দেখলে মনটা ভরে যায,যাবে এমন মন চায় গলায় সারাক্ষণ পরে থাকি।আর নারায়ণগঞ্জ বারের টাই দেখলে মনে হবে কুকুরের জিহ্বা। এই টাইয়ের জন্য আবার জন প্রতি দুই হাজার টাকা করে নিয়েছে।সত্যি কথা বলতে কি, একজন সিনিয়র কিন্তু তার জুনিয়র কে যা দিবে সেটা তার জন্য গর্বের এবং আর্শীবাদ। সে গর্ব করে সবাই কে দেখাবে আমার সিনিয়র দিয়েছে। অথচ নারায়ণগঞ্জ বারের টাই কাউকে দেখানো তো দুরের কথা শিক্ষা নবিশরা পরতে চায় না।আর তাদের কথা হলো গায়ের জোরে হলেও এই টাই পরাতে হবে।তাই গায়ে হাত তুলতেও দ্বিধা করে না।আসলে তারা ভুলে যায় যে হাত সবারই আছে।অথচ তারা যদি ঢাকা বার কে ফলো করে টাই দিত তবে তাদের বলতে হবে না শিক্ষা নবিশ রা এমনিতেই টাই পরবে।তাহলে এসমস্যার সমাধান করবে কে, সমস্যা তৈরী করেছে যে। একটা কথাযদি বলি, ধরুন কোন গর্ভবতী নারী কে যদি রাস্তায় ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে তাকে কেমন দেখাবে আর লোকেই বা কি বলবে? তো আমাদের নারায়ণগঞ্জ বারের অবস্থা হলো এই।এর চেয়ে বেশী কিছু আর বলার নেই।যাক কথা গুলো এই জন্য বললাম, মানুষ বা বাবা- মা শুধু ফেল করা টাই দেখে থাকে।সবাই বলে ফেল করে কেন? কেউ তো বলেনা এম সি কিউ পরীক্ষা চালু করল কেন? এদেশের মানুষ কুকুর মারার জন্য হাই কোর্টে রীট করে অথচ মানুষ সড়ক দূর্ঘটনাতে মরছে,দ্রব্যমূল্য দিন কে দিন বাড়ছে, আর বার কাউন্সিল কত ছাত্রের জীবন নষ্ট করছে,কত না মায়ের স্বপ্ন ভেঙে দিচ্ছে এসবের জন্য তো দেখি না কাউকে হাই কোর্টে রিট করতে।এতো দয়ার সাগর কোথায় থাকে তখন। কি দরকার ছিল এম সি কিউ এক্সাম চালু করার,কি দরকার এতো এতো শিক্ষার্থীর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার।যতদুর জানি প্রজা অপরাধ করলে বিচার করে রাজা আর রাজা যদি অপরাধ করেন তবে বিচার করেন স্বয়ং খোদা।উপরে কেউ একজন আছেন, আপনাদের এই জুলুমের বিচার করবে তিনি।বার কাউন্সিলের গুটি কয়েক লোক দিচ্ছে ধোকা, হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের বানাচ্ছে বোকা।বার কাউন্সিলেও দূর্নীতি হয়ে থাকে। পরিশেষে বর্তমান আইন উপদেষ্টার কাছে আমাদের চাওয়া আপনি আমাদের নতুন করে বাচার পথ দেখান।কারন আপনি আইনের শিক্ষক, আপনি বুঝবেন শিক্ষা নবীশ দের দুঃখ- কষ্ট।তাছাড়া যেহেতু নতুন করে দেশ সচল করে তুলেছে তাই এখানেও নতুন কিছু চাই।এটাও আওয়ামী লীগ সরকারের একটা বঢবসার বীজ বলতে পারেন। পৃথিবীর কটা দেশে আছে এই এমসি কিউ, লিখিত আবার ভাইবা।বলতে পারি এটা এক ধরনের অত্যাচার হাজার হাজার ছাত্রদের উপর।আমরা চাই আপনি আমাদের পাশে থাকবেন।এই সিষ্টেম পদ্ধতি সংস্করন করবেন।(লেখার বিষয় একমাত্র লেখকের সম্পাদক বা পত্রিকার কর্তৃপক্ষ এক্ষেত্রে কোন দায়ী নয়)